দুর্গাপুর, ২১ মে: রাস্তায় রক্ত আর মাংসপিণ্ড ঝরতে ঝরতে স্কুটি সমেত ব্যক্তিকে ছেঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে সরকারি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস। এই ঘটনা দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে স্থানীয়রা।এরপরই উত্তেজিত ক্ষুব্ধ জনতা দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। শুরু হয় ব্যাপক উত্তেজনা। কোকওভেন থানার পুলিশকে ঘিরে ধরেও শুরু হয় বিক্ষোভ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নটা নাগাদ দুর্গাপুরের ডিপিএলের রাস্তা ধরে প্রচন্ড গতিসম্পন্ন অবস্থায় দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার একটি বাস যাচ্ছিল SBSTC র গ্যামনের সংস্থার কার্যালয়ের দিকে। স্কুটি নিয়ে দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল প্রামানিক সেই সময় গ্যামনের দিকেই যাচ্ছিলেন। তখনই বেপরোয়া গতিতে থাকা সরকারি বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে স্কুটি আরোহীকে ধাক্কা মারলে স্কুটি আরোহী এবং তার স্কুটি বাসের পিছনের চাকায় আটকে যায়।
এই অবস্থায় বাসটি না থামিয়ে প্রায় ৫০০ মিটার জুড়ে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায়।বাসটি এস বি এস টি সি কার্যালয়ের ভেতরে ঢোকার সময় বাইরে পড়ে যায় শ্যামলবাবুর রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্যামল পারামানিকের (৩৯ বছর)। আর স্কুটি নিয়ে বাসটি এস বি এস টি সি কার্যালয় এর ভেতরে ঢুকে পড়ে।সরকারি সংস্থার কার্যালয়ের সামনে যেতেই পালিয়ে যায় চালক এবং খালাসী। মদ খেয়ে গাড়ি চালাচ্ছিল বলেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ তোলেন ক্ষুব্ধ উত্তেজিত জনতার একাংশ। প্রতিনিয়ত যেভাবে একের পর এক বেপরোয়া গতিতে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাস যাতায়াত করে তাতে তাঁরা আতঙ্কের মধ্যেই থাকেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যতক্ষণ না পর্যন্ত ওই চালককে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে।দীর্ঘক্ষণ দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশনগামী এই রাস্তা অবরোধ থাকার পর প্রায় এক ঘণ্টা পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় উত্তেজিত জনতা। পুলিশ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।