দুর্গাপুর, ২৩ সেপ্টেম্বর :সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসিনিক বৈঠকের পরে দুর্গাপুর ব্যারেজে আসেন।বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়ার সীতারামপুর গ্রামের বন্যাকবলিত মানুষদের ত্রান বিতরনের পরে মুখ্যমন্ত্রী আসেন দুর্গাপুরের সিটিসেন্টারে সার্কিট হাউসে । দুর্গাপুর সিটি সেন্টারের সরকারি সার্কিট হাউসে রাত্রিযাপন করার পর সকালে বীরভূম জেলার বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সুত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী তৃণমল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন INTTUC র ভুমিকা নিয়ে চুড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।তার পাশাপাশি পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কে শ্রমিক সংগঠন দেখভালের জন্য বাড়তি দায়ীত্ম দেওয়ার পাশাপাশি INTTUC এর পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সাথে দ্রুত বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর কড়া বার্তা দিয়ে যান।।
শিল্পনগরী দুর্গাপুর শ্রমিকনগরী হিসাবে দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে খ্যাত।দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকশ্রেনী ও তাদের পরিবারের বসবাস এই দুর্গাপুরেই।খনি ও শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক সংগঠনের ভূমিকা যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা জানেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শাসকদলের শ্রমিক সংগঠন আই এন টি টি ইউ সি এই পশ্চিম বর্ধমান জেলার সংগঠনের যে অন্যতম প্রধান ভুমিকা গ্রহন করবে সে সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে আর কে ভালো জানেন।রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকেই আসানসোল মহকুমায় শ্রমিকশ্রেণি শাসকদলের পক্ষে রায় দিলেও দুর্গাপুর মহকুমায় ২০১১ সালের পরে শ্রমিকশ্রেণি অনেকটাই শাসকদল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তার ফলস্বরূপ ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এবং ২০১৬ তে বিধানসভা নির্বাচনেও শাসকদলের হাত থেকে চলে যায় দুর্গাপুর পূর্ব ও দুর্গাপুর পশ্চিম আসন দুটি।সেই সময় থেকে বারংবার আই এন টি টি ইউ সি র ব্যাটনের হাতবদল হলেও দুর্গাপুরের সার্বিক ছবিটার কোন বদল ঘটেনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ লক্ষাধিক ভোটে কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করলেও দুর্গাপুর পৌরসভার ৩৩ টি ওয়ার্ডে জোড়াফুলের প্রার্থী পিছিয়ে পড়েন।দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ বোলপুর যাওয়ার আগে শ্রমিক সংগঠনের ভুমিকা নিয়ে নিজের চুড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করার পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলাসহ দুর্গাপুর শহরের শ্রমিক সংগঠনের হাল ফেরাতে নরেনকেই বিশেষ দায়ীত্ম দিয়ে যান।INTTUC র পশ্চিম বর্ধমান জেলার সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের সাথে দ্রুত এই বিষয় নিয়ে বৈঠক করে সমস্ত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়ে যান নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেই।যদিও এই বিষয়ে শাসকদলের পক্ষ থেকে খোলসা করে কিছু বলা হয়নি।তবে মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে INTTUC এর কাজেকর্মে একেবারেই সন্তুষ্ট নন তা স্পষ্ট করে বলে দিয়ে যান।।