দুর্গাপুর, ২৬ ফেব্রুয়ারী : সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্ডাল বিমানবন্দরে নামার পরে সার্কিট হাউসে এসেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার জোড়াফুল শিবিরের নেতাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারেন।এই বৈঠকে দলের সুপ্রিমো “”কারা কারা বিজেপির সাথে যোগাযোগ “”রেখে চলেছেন তাই নিয়ে ফের আরও একবার সরব হন বলে সুত্রের খবর। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারেকে লোকসভা নির্বাচনের আগে আসানসোল দক্ষিন কেন্দ্র সহ বেশ কিছু দায়িত্ব দেন দলনেত্রী বলে সুত্রের খবর। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল নেতারা এই মুহূর্তে আড়াআড়ি ভাবে দুটি শিবিরে বিভক্ত। মন্ত্রী মলয় ঘটক “” ঘনিষ্ঠ “” ও মলয় “”বিরোধী “” গোষ্ঠীর লড়াই থামাতেই কি দলনেত্রীর তড়িঘড়ি বৈঠক? পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মন্ত্রী মলয় ঘটক “” ঘনিষ্ঠ “” ও তার বিরোধী দুই গোষ্ঠীর “” কাজিয়া””থামাতে দলনেত্রী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখেই কোর কমিটি গঠন করার কথাও বলেছিলেন সেই বৈঠকে। কিন্তু তারপরও কাজিয়া থামেনি বলেই অভিযোগ।
এবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা সফরে যাওয়ার আগের দিন সোমবার বিকেল পাঁচটার বেজে দশ মিনিট নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানে এসে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তড়িঘড়ি সড়কপথে তিনি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সার্কিট হাউসে আসেন। সার্কিট হাউসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোকার পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটক , আড্ডার চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত , পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ দলীয় বিধায়করা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির অভিজিৎ ঘটকদের ঢুকতে দেখা যায়। সুত্র মারফত জানা যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই বৈঠক কেন? কেন তড়িঘড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সাথে বৈঠকের প্রয়োজনীয়তা হয়ে পড়ল দলনেত্রীর?
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মূলত শাসকদল আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। মন্ত্রী মলয় ঘটক “”ঘনিষ্ঠ “” একটি গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে মলয় ঘটক” বিরোধী”” একটি শিবির। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জেলায় শাসক দলের “” কাঁটা””দুই শিবিরের এই দ্বন্দ্ব । সূত্র মারফত খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় “”কারা কারা বিজেপির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন “”সেই বিষয়ে বৈঠকে সরব হন। উল্লেখ্য এর আগেও কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কারা কারা তাহলে বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখছেন? প্রায় ২০ মিনিট ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও নেতায় বৈঠকের বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাইলেন না। মন্ত্রী মলয় ঘটক শুধু বলেন, “”মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন তাই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম। “”জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কেও দেখা যায় দ্রুত গাড়িতে করে রওনা দিতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটককে সঙ্গে নিয়ে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুটি লোকসভা আসনেই পরাজিত হয়েছিল শাসকদলের প্রার্থীরা। তারপর আসানসোলে পুনর্নিবাচনে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা জয়লাভ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শত্রুঘ্ন সিনহা এবারও আসানসোলের প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছেন। দলনেত্রীর পাখির চোখ পশ্চিম বর্ধমানের দুটি আসন। তাই দুর্গাপুর এসেই কড়া সতর্কবার্তা দলের “”হেভিওয়েট মন্ত্রী থেকে বেশ কয়েকজন নেতাকে””।।