রাষ্ট্রায়ত্ত ডিএসপি কারখানার সম্প্রসারণের জন্য প্রাচীর নির্মানে স্থানীয়দের সাথে তৃণমূল নেতাদের বাধা,উত্তেজনা

দুর্গাপুর, ২০ মে: বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোট মিটতে না মিড়তেই রাষ্ট্রায়ত্ত ডিএসপি কারখানার সম্প্রসারণের জন্য তাদের নিজস্ব জমিতে প্রাচীর দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পিছু হটল কারখানা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দারা এবং শাসক দলের নেতারা একযোগে বাধা দিল কারখানা কর্তৃপক্ষকে প্রাচীর নির্মাণে। ডিএসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ যে এর আগে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কথা দিয়েছিল যে শুধুমাত্র তাদের অধিগৃহিত ফাঁকা জমিতে প্রাচীন নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে এলাকাগুলিতে ঘরবাড়ি রয়েছে তাদের দরজা পর্যন্ত প্রাচীর করে দেওয়ার কারণে সেই লোকগুলির বাড়িতে ঢোকা বাবেরোনো সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। এই ইস্যুতেই স্থানীয় এবং তৃণমূল নেতাদের সাথে ডিএসপির আধিকারিকদের ধাক্কাধাক্কি হয়।
গত কয়েক মাস আগে নিজেদের জমি অধিগ্রহণের প্রাথমিক কাজ শুরু করতে গিয়ে চরম বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল। জমি দখল করে গড়ে উঠা বস্তিবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়ে পিছু হটতে হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে। ফের দুর্গাপুরের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা এলাকায় প্রাচীরের কাজ দেখতে গিয়ে চরম বাধার মুখে পড়তে হল ইস্পাত কারখানার আধিকারিকদের। স্থানীয়দের এবং তৃণমূল কর্মীদের সাথে দফায় দফায় বচসা শুরু হয় ইস্পাত কারখানার আধিকারিকদের। স্থানীয়দের আর তৃণমূল কর্মীদের চরম ক্ষোভের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত এলাকা ছেড়ে পালাতে হয় ইস্পাত আধিকারিকরা। এলাকার তৃণমূল নেতা দীনেশ যাদব দাবি করেন,”দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার সময় বলা হয়েছিল ইস্পাত কারখানার পড়ে থাকা ফাঁকা জমির উপর প্রাচীর দেওয়া হবে। কিন্তু এখন ইস্পাত কারখানার জমির উপর গড়ে ওঠা বস্তির বাড়িগুলির সামনে এমনভাবে প্রাচীর দেওয়া হচ্ছিল যে মানুষজনকে বাড়ি থেকে বেরোতেও চরম সমস্যায় পড়তে হবে। বস্তিবাসীদের কথা শুনে তারা ঘটনাস্থলে আসতেই ইস্পাত কারখানার আধিকারিকরা পালিয়ে যায়। যতক্ষণ না পর্যন্ত এর কোনো ব্যবস্থা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাজ বন্ধ থাকবে বলেও জানান।”এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বেদবন্ধু রায় বলেন,”একটা ঘটনা ঘটেছে জানতে পেরেছি। ডিএসপি কর্তৃপক্ষ নিয়ম মেনেই প্রাচীর দিচ্ছেন।”

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *