দুর্গাপুর, ১২ ডিসেম্বর : ক্রেতাদের হাতে সরাসরি হস্তশিল্প তুলে ধরবে হস্তশিল্পীরা। সঙ্গে বাউল আর লোক সংগীতের আসর নিয়ে রাজ্যের প্রথম দুর্গাপুরে শুরু হতে চলেছে ‘সৃষ্টিশ্রী’ মেলা। শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার সংলগ্ন পলাশডিহায় দুর্গাপুর হাটে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, এসিপি দুর্গাপুর তথাগত পান্ডে, তুহিন চৌধুরী সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন,”রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে এবং আনন্দধারা প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ২৩জানুয়ারি পর্যন্ত দুর্গাপুর হাটে সৃষ্টিশ্রী মেলা চলবে। এই মেলায় পুরা বীরভূম পুরুলিয়া উত্তর ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম বর্ধমানের ৬০ টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা হস্তশিল্পের সম্ভার তুলে ধরবেন। হস্তশিল্পের বিখ্যাত সামগ্রীর জন্য দুটি প্যাভিলিয়নও করা হবে। সঙ্গে আঞ্চলিক হস্তশিল্পীরাও এই মেলায় যোগ দেবেন। সরাসরি ক্রেতাদের কাছে সেই সামগ্রী তুলে দিয়ে লাভের মুখও দেখবেন হস্তশিল্পীরা। কার্তিক দাস বাউল, সুরজিৎ চ্যাটার্জি ব্যান্ড সহ দোহারের গান প্রাণবন্ত করে তুলবে এই মেলাকে। এই মেলায় যাওয়ার জন্য থাকবে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসের ব্যবস্থা। এই মেলার প্রচার হবে মহিলাদের পদযাত্রার মাধ্যমে সানাইয়ের সুরে। ব্যাপক আয় হবে বলেও জানান তিনি।”প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের পলাশডিহায় “”দুর্গাপুর হাট “”এর উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু উদ্বোধনের পর থেকে প্রথমদিকে এই হাট কিছুটা সচল থাকলেও সময়ের সাথে সাথে এই হাট ক্রমশ একা হয়ে পড়ে। গ্রাহকরা এই হাটে সেভাবে যায়নি। দুর্গাপুর পূর্বের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই কথা জানতে পেরে দুর্গাপুর হাটকে সচল করার জন্য এবং গ্রাহকদের কাছে এই হাটকে আকর্ষক করে তুলতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এখন দেখার দুর্গাপুর হাটের ভবিষ্যৎ বদলায় কিনা?