রাজ্যের সবচেয়ে উষ্ণ পশ্চিম বর্ধমানের পানাগড়

দুর্গাপুর, ১৮ এপ্রিল : বৈশাখের শুরুতেই চড়া রোদে পুড়ছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তবে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে তপ্ত পানাগড়।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পানাগড়ে বুধবার তাপমাত্রা ছিল ৪২.৫° সেন্টিগ্রেড। রাজ্যে এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই একই ছবি পানাগড়সহ পশ্চিম বর্ধমান জেলার শিল্প শহর দুর্গাপুরে। খনি অঞ্চল থেকে শিল্পাঞ্চল বেলা বাড়তি রাস্তাঘাট খাঁ খাঁ করছে।

বেলা যত বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ তত চড়ছে।তাপপ্রবাহের জ্বেলে যেন অলিখিত কার্ফু জারি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা দুর্গাপুর মহকুমা জুড়ে। শিল্প শহরের শ্রমিক মহল রৌদ্র দগ্ধ হয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থায়। শহরের অধিকাংশ বাজার ঘাট বেলা বারোটা বাজতে প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বেশিরভাগ স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হলেও ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় গুলিতে কিন্তু ছুটি ঘোষণা হয়নি। প্রবল খর তাপের হাত থেকে বাঁচার জন্য পথ চলতি মানুষকে তৃষ্ণা মেটাতে ঠান্ডা বরফ দেওয়া আখের রস, ফলের রস, লস্যি, আইসক্রিম, আমপোড়ার শরবত কিম্বা রাস্তার পাশের দোকানগুলি থেকে শীতল পানীয় গলায় ঢালতে দেখা যাচ্ছে। বেশিরভাগ মানুষ স্কুটি কিংবা মোটরবাইকে বেরিয়েছেন মুখ, নাক একেবারে ঢেকে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও পশ্চিম বর্ধমান জেলাসহ দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে । দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুল গুলিতে স্কুলের সময় হেরফের ঘটানো হয়েছে। তাপপ্রবাহ যেভাবে অতিষ্ঠ করে তুলেছে জনজীবন তাতে করে সবাই এখন চাতকের মত তাকিয়ে আছে বৃষ্টির অপেক্ষায়। এবারের চৈত্র মাসের শেষ দিক থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত এখনও পর্যন্ত সেভাবে কালবৈশাখীর দেখাও মেলেনি। তাপমাত্রার পারদ দিন প্রতিদিন চলছে। দুর্গাপুরে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রার পরিমাণ ছিল ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায় দুপুরের দিকে আরো গরম বাড়বে।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ