দুর্গাপুর,২৭ ফেব্রুয়ারী : পানাগড়ে হুগলির চন্দননগের বাসিন্দা পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৯০ ঘন্টা পরে ঘটনার রাতে SUV গাড়ির মালিক বাবলু যাদব গ্রেপ্তারের বিকালে দুর্গাপুরে ডেপুটি কমিশনার (পুর্ব) অফিস ঘেরাও করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক লক্ষন ঘোড়ুইসহ বিজেপির নেতা-কর্মীরা।প্রায় এক ঘন্টা অগ্নিমিতা পাল এর নেতৃত্বে ডিসি অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ চলতে থাকে। এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ অগ্নিমিত্রা পাল কে সুতন্দ্রার অবশ্য দ্রুত ভেদ করার আশ্বাস দিলেও অগ্নিমিত্রা দাবি তোলেন,যতক্ষণ পর্যন্ত না ডিসিপি (পুর্ব) আসছেন তারা উঠবেন না।””এরপরেই তিনি পুলিশকে পালটা প্রশ্ন করেন, “” সেই রাতে রাস্তায় পুলিশি টহল ছিলনা তাও কমিশনার দুটি পুলিশ গাড়ি কাঁকসার রাস্তায় টহল দিচ্ছিল বলেছেন।তাহলে ১৭ কিমি পথ দুটো গাড়ি রেসারেসি করতে করতে এলো পুলিশ তাদের আটকালো না কেন?”তদন্তের বিষয়ে তিনি কোনও কথায় বলবেন না বলে এসিপি দুর্গাপুর সুবীর রায় জানানোর পরেও অগ্নিমিত্রা পাল ও বিজেপি নেতাকর্মীরা রাস্তায় বসে থাকেন।

অগ্নিমিত্রা পাল রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা আর নেই এমন অভিযোগের পাশাপাশি সুতন্দ্রার মৃত্যুরহস্য কে চাপা দিতে চাইছে পুলিশ বলেও অভিযোগ করেন।এরপরেই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, “”এটা কি আফগানিস্তান নাকি পাকিস্তান? এখানে শিক্ষিত মহিলারা কি কাজ করবেন না?সুতন্দ্রা সেই রাতে কাজ করতেই যাচ্ছিল।সিসিটিভির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রচুর অর্থ পাঠায়। সেই অর্থ যাচ্ছে কোথায়? “”অগ্নিমিত্রা পালের এই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির জন্য দুর্গাপুরের ডেপুটি কমিশনার (পুর্ব) অভিষেক গুপ্তার কার্য্যালয়ের সামনে প্রচুর পুলিশ,মহিলা পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন ছিল।অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপির নেতাকর্মীরা মিছিল করে এসে দুর্গাপুরে ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। অগ্রিমিত্রা পাল সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করে বলেন, “”অভয়াকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত সঠিক বিচার হয়নি। কলকাতায় সাত বছরের শিশুকন্যা ধর্ষন হয়।মুখপাত্র তারপরেও বলছেন আমরা রাজ্যের সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারব নাকি? আমরা সবাইকে ব্যাক্তিগত দেহরক্ষী দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলছি না। কিন্তু এই সিস্টেমের পরিবর্তন তো করা যায়।

সিসিটিভি কোথায়? “”পানাগড়ে সুতন্দ্রার মৃত্যুর ঘটনার পর আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী বলেছিলেন,””রাতে ইভটিজিং এর কোন ঘটনা ঘটেছে বলে কোন অভিযোগ তাদের কাছে জমা পড়েনি। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দেখা গেছে গাড়ি রেষারেষির জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। সিসিটিভিতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে একটা সময় বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করছে মৃতা যে গাড়িতে ছিলেন সেই গাড়িটি। “”পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিমিত্রা পালের অভিযোগ, “”পুলিশ সমস্ত ঘটনাকে তড়িঘড়ি ধামাচাপা দিতে চাইছে। তাই সব ঘটনাতেই মিথ্যা বলছে।আর জি কর কান্ডে বিনীত গোয়েল তাই করেছেন।রাজ্যে নারীরা সুরক্ষিত নেই।”” অগ্নিমিত্রা পাল আরও বলেন,””মৃতার গাড়িতে যারা ছিল তাদেরকে পুলিশ ধমক চমক দিয়েছে “”।