ভোট বড় বালাই! আগুনঝরা আবহাওয়াতেও তাই ভোট প্রচার

দুর্গাপুর, 21 এপ্রিল : এবার গরমে রাজস্থানকেও টেক্কা দিয়েছে এই বাঙলা।আগুন ঝরা আবহাওয়া। কড়া সতর্কবার্তা সরকারি ভাবে।কিন্তু তাতে কি?ভোট বড় বালাই।তাই ৪৪°-৪৫° সেন্টিগ্রেড হোক বা তারও বেশি,সেই গরমকে উপেক্ষা করেও চলছে প্রচার।ও আর এস, লেবুজল কিম্বা তরমুজ খেয়ে প্রার্থীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন জনসমর্থন আদায়ে।মানুষের আশীর্বাদ পেতে মরিয়া ভোট প্রার্থীরা তাই গ্রাম থেকে শহরে এই তীব্র গরম কে উপেক্ষা করে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রচার।

পাঁচ বছরের জন্য দিল্লির সরকার গড়বেন কারা? লড়াই তো সেই প্রশ্নেই,তাই হয়তো রাজনৈতিক লড়াই এতটাই উত্তপ্ত যে প্রকৃতির এই উত্তাপ রাজনীতিবিদদের মুখ বুহে সহ্য করেও জনাদেশ লাভের জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে সর্বত্রই।

বর্ধমান -দুর্গাপুর ও আসানসোল এই দুই নির্বাচনী কেন্দ্রেই প্রার্থীদের গড় বয়স সবার ষাট বছরের উর্ধ্বে।বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের বয়স ৫৯ বছর, এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদের বয়স ৬৫ বছর, ৬০ উর্ধ ড: সুকৃতি ঘোষাল এবারে এই কেন্দ্রের সিপিএমের প্রার্থী।অন্যদিকে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী এস এস আলুহওয়ালিয়ার বয়স ৭২ বছর,এই কেন্দ্রের টিএমসি প্রার্থী তথা চলচিত্র অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহার বয়স ৭৭ বছর, এই কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী জাহানারা খানের বর্তমান বয়স ৫৯ বছর। অর্থাৎ গড়ে সবার বয়স প্রায় ৬০ বছর।

যেই দুই কেন্দ্রের প্রার্থীরা ৪২ -৪৩° সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রাকে হার মানিয়ে জনসমর্থন আদায়ের জন্য আদা জল খেয়ে নেমে পড়েছেন বলা ভালো।তীব্র গরম থেকে বাঁচতে খাওয়া দাওয়া একেবারেই নিয়ন্ত্রণ করেছেন প্রার্থীরা।সকালে প্রায় সব প্রার্থীরা ফলাহার করছেন।মাঝে লেবুজল,লস্যি,তরমুজ খাওয়ার পরে দুপুরে লাঞ্চে সবাই এখন নিরামিষ আহার করছেন।এখনও প্রায় ২৫ দিন এই লড়াই জারি থাকবে এই তাপমাত্রাকে গায়ে মেখেই।এরপরে এই আগুনে আবহাওয়াতে শুরু হবে নিজের নিজের দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীদের নির্বাচনী জনসভা ও রোড-শো।কিন্তু গরমে পুড়লেও ক্ষতি কি?ভোট যে বড় বালাই! অনেকেই বলেছেন এই একমাস গরমে পুড়ে যদি দিল্লী যাওয়া পাকা করে ফেলতে পারে তাতেই তো “”কেল্লা ফতে “”।

তাই জনগনের মন জয়ে মরীয়া প্রার্থীদের এই তপ্ত আবাহাওয়ার আঁচ লাগছেইনা।কারন তাদের কাছে যে “” দিল্লী বহত দূর”””।ওখানে পোঁছাতে তাই একটু তামাটে রঙ তো হবেই।।কিন্তু একবার যদি জয়লাভ হয়ে যায়, ব্যাস তারপর আরও ৫ টা বছর,বাতানুকূল ঘর,অফিস,ট্রেনে সফর,বিমানে যাতায়াত তার ওপর মোটা মাইনে এবং বাকি জীবন পেনসনের গ্যারান্টি। তাই একটু আধটু “”সুরক্ষিত ভবিষ্যতের “” জন্য গরম তো সহ্য করতেই হবে।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *