দুর্গাপুর, ১৭ মে: কাঁকসার বে-সরকারি গোপালপুর শিল্পতালুকের একটি বে-সরকারি স্পঞ্জ আয়রন কারখানায় প্রাচীরের গায়ে নর্দমা নির্মাণের সময় প্রাচীর চাপা পড়ে মৃত্যু দুই ঠিকা শ্রমিকের, আশঙ্কাজনক আরও দুই শ্রমিক। কারখানার ভেতর ঢুকে তুমুল বিক্ষোভ শ্রমিকদের। পুলিশ আর তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ শ্রমিকদের। মৃত ২ ঠিকা শ্রমিকের নাম চন্দন বাউরী (২৮) এবং রাম টুডু (৩২)। মৃতদেহ আটকে রেখে তুমুল বিক্ষোভ।
মৃত দুজনেই স্থানীয় বাসিন্দা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আরো দুই ঠিকা শ্রমিক বুলু মাল এবং সুরেশকেও ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। শ্রমিকদের অভিযোগ কখনও ট্রাক চাপা পড়ে মৃত্যু হচ্ছে শ্রমিকদের, আবার কখনও পুড়ে মৃত্যু হচ্ছে। কোন ব্যবস্থা নেয় না কারখানা কর্তৃপক্ষ। এবার প্রাচীরই পড়ে গেল ড্রেন নির্মাণের সময় শ্রমিকদের গায়ে। তারপর থেকেই বেপাত্তা কারখানা কর্তৃপক্ষও। দুজনের মৃত্যুও হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় শ্রমিকরা। শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি চন্দন রায়কেও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাই তাঁরা। শ্রমিকরা পরিষ্কার জানাচ্ছেন কেন এভাবে মর্মান্তিক মৃত্যু হল? যতক্ষণ না পর্যন্ত কারখানা কর্তৃপক্ষ জবাব দিতে না পাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা বিক্ষোভ চালাবেন।স্থানীয় বাসিন্দা মানস দত্ত ও রাজকুমার পাল জানান,””এই প্রাচীর যে জায়গাতে তৈরি হয়েছে সেখানে জলাশয় থাকার কারনে মাটি নরম ছিল।প্রাচীরের গায়ে গুড়ো দেওয়া হলে প্রাচীর তার ভার নিতে পারেনি।তাই নর্দমা তৈরির সময় ৪ জন চাপা পড়ে যায়।দুজন সাথে সাথেই মারা যায়, দুজন আহত হয়।কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী এই পরিবারগুলিকে পর্যাপ্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া। কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে বারবার। “” কারখানায় দুর্ঘটনা জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা এবং কারখানার কর্মীরা কারখানা কর্তৃপক্ষের অফিসে ঢুকে ভাংচুর চালায়। কার্যত উত্তেজিত জনতা কারখানার ভেতরে তাণ্ডব শুরু করে ।ডিসিপি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স ঘটনাস্থলে যায়। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ডিসিপি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, “” কারখানার ভেতরে উত্তেজিত জনতা বেশ কিছু জায়গায় ভাঙচুর চালায়। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করায় বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়। দুজন আহত দুজন মারা গেছে বলে এখনো পর্যন্ত জানতে পেরেছি। আরো কেউ চাপা পড়ে আছে কিনা তার খোঁজ চলছে। “”পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ গোপালপুর শিল্পদালুকে। তাই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন আছে এই কারখানার ভেতরে এবং বাইরে।।