বিগ ব্যাশ-২০২৪ এর ট্রফি উন্মোচন করলেন কীর্তি আজাদ

দুর্গাপুর, ২১ মার্চ: দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বুধবার সন্ধ্যায় টেনিস বলের ক্রিকেটের মহারণ বিগ ব্যাশ-২০২৪ ধামাকার দ্বিতীয় বর্ষের ট্রফি উন্মোচন করলেন ১৯৮৩ র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সৈনিক কীর্তি আজাদ। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ অন্যান্য বহু অতিথিবৃন্দ।

দুর্গাপুর ক্লাব সমন্বয়ের ঐকান্তিক উদ্যোগ ও প্রচেষ্টায় টেনিস বলের ক্রিকেটের এই মহা আয়োজন গত বছর সিটি সেন্টারের ভগৎ সিং ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত হয়েছিল। এবার এই প্রতিযোগিতার আসর বসতে চলেছে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এর নেহেরু স্টেডিয়ামে। আগামী ২৯ শে মার্চ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সঙ্গীত জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র উষা উত্থুপ।৩০ মার্চ আয়োজিত হবে কর্পোরেট প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচ।৩১ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যের টেনিস বলের ১৬ টি ক্রিকেট দলে দেশের টেনিস বলের তারকারা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।৪ এপ্রিল ফাইনাল ম্যাচে মুখ্য অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ১৯৮৩ র ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের আরও এক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হার্ড হিটার ব্যাটসম্যান হিসাবে যার খ্যাতি সেই সন্দীপ পাটিল।দিনরাতের এই ম্যাচগুলি আয়োজিত হবে নেহেরু স্টেডিয়ামে। দুর্গাপুর ক্লাব সমন্বয়ের সভাপতি সন্দীপ দে জানান, “”মুঠোফোনের প্রতি আকৃষ্ট আজকের যুবসমাজ। একদিকে পড়াশোনার প্রবল চাপ কিশোর কিশোরীদের জীবন থেকে কেড়ে নিয়েছে মাঠ কে। তাই তাদেরকে মাঠে ফেরানোর লক্ষ্যেই আমাদের এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। শুধুমাত্র পড়াশোনা করেই ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করা যায় না। খেলাধুলাতেও আজ প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। এই টেনিস তারকারা নিজেদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এই খেলাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। তারা আজ প্রতিষ্ঠিত। “”বিগ ব্যাশ-২০২৪”” আগামী 29 মার্চ তারিখ থেকে দুর্গাপুরে নেহেরু স্টেডিয়ামে মানুষের ঢল নামবে বলে আশাবাদী উদ্যোক্তারা। এই প্রতিযোগিতার আয়োজনে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে সহায়তা করেছেন বলে জানান উদ্যোক্তারা । ট্রফি উন্মোচনের পর প্রখ্যাত ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ বলেন, “”মানুষের চরিত্র গঠনের জন্য খেলাধুলার প্রয়োজন। খেলোয়াড়দের কোন জাতি, কোন ধর্ম হয় না। কোন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে খেলোয়াড়দের বিরাট ভূমিকা প্রয়োজন। ১৯৮৩তে বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতবর্ষ বিশ্ব ক্রিকেটে এক শক্তিধর দেশ হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করে।” বুধবার সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে বাংলায় ক্রিকেট খেলার বহু স্মৃতি রোমন্থন করতে শোনা যায় কীর্তি আজাদকে। দুর্গাপুরে নেহেরু স্টেডিয়ামেও তিনি একাধিকবার ইন্টার স্টিল ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বলে জানান।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Get free tips and resources right in your inbox, along with 10,000+ others