নিউজ হান্ট : কলকাতা:- ১৪ ফেব্রুয়ারি: জয় জয় দেবী /চরাচর সারে…বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণে যখন পূজিতা বিদ্যার দেবী মা সরস্বতী। তখন পুরোহিত মেয় নয় কেন?এই বিষয়ে সামনে আসে বাঙলা ছবি, “” ব্রম্ভা জানেন গোপন কর্মটি””।সেই সিনেমাতে দেখানো হয়েছিল এক মহিলা গৃহবধূ সমাজের প্রাচীন রীতিনীতির শক্ত প্রাচীর ভেঙ্গে মহিলা পুরোহিতের ভূমিকায় অবতীর্ণ।আর আজ সরস্বতী বন্দনার দিনে সেই একই ছবি তুলে ধরল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলের তিনজন ছাত্রী। তিন জন স্কুল ছাত্রী পুরোহিতের ভূমিকা পালন করে বিদ্যাদেবীর পূজার্চ্চনা করল অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ভক্তিভরে।সংস্কৃত মমন্ত্রোচ্চারণ এবং সমস্ত রীতি রেওয়াজ মেনেই নিজেদের স্কুলের সরস্বতী পূজায় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করলেন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর তিনজন ছাত্রী। স্কুলের পুজোতে পুরোহিতের ভূমিকা পালন করে গর্বিত তারা। কারণ সমাজের তৈরি করা গণ্ডি পেরিয়ে তারা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। শুধু তাই নয় সামাজিক প্রাচীন রীতির আগল ভেঙে তারা আজ এক নতুন প্রশ্ন তুলে ধরল, কেন শুধু পুরুষ পুরোহিতরাই পূজো করতে পারবেন? মহিলারা পুজোপাঠের অধিকার থেকে বঞ্চিত কেন?তবে এই দৃষ্টান্তের কারিগর হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থ প্রতিম বৈদ্য । তার নির্দেশেই এই বছর পুরুষ পুরোহিত কে দিয়ে নয়, স্কুলের ছাত্রীদের দিয়ে পূজো রীতি নীতি পালন করা হল। প্রধান শিক্ষক চান যে ছাত্রীদের মানোন্নয়ন । তাই প্রাচীন পরম্পরা রীতি নীতির তোয়াক্কা না করে নতুন অধ্যায় লেখা শুরু করল যাদবপুর বিদ্যাপীঠ স্কুলের ছাত্রীরা। পুজোর সমস্ত রীতি অনুযায়ী হোমযজ্ঞ করে এই তিন পুরোহিত কন্যা সহ একাধিক ছাত্রীরা। প্রত্যেক বছরের মত এই বছরও বিদ্যার মন্দিরকে নিজের হাতে সাজিয়ে তুলেন ছাত্রীরা।