দুর্গাপুর, ২৮ অগাস্ট : গতকাল ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপির পক্ষ থেকে বুধবার 12 ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। বুধবার সকালে দুর্গাপুরের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড়ে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের কে নিয়ে বনধ করতে গেলে নিমেষে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায় পুলিশের সামনেই।রাস্তায় ফেলে পেটাতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুইকে।ব্যাপক মারধরের চোটে বিজেপি বিধায়কের পোশাক এমন কি জুতো পর্যন্ত ছিঁড়ে যায়।
বুধবার বিজেপির ডাকা 12 ঘন্টা বনধের দিনে সাত সকালেই দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বনধের সমর্থনে সদলবলে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে নেমে পড়েন। দুর্গাপুরের প্রান্তিকা মিনিবাস স্ট্যান্ডে প্রথমেই দেখা যায় মিনিবাস ও দোকানপাট বন্ধ করার জন্য বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে বিজেপি বিধায়ককে প্রচার শুরু করতে। সেই সময় সেখানে উপস্থিত তৃণমূল নেতা বিপ্লব বিশ্বাস, রাজু সিং দের সাথে বসসায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কসহ নেতাকর্মীদের। দুই পক্ষের স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের বেনাচিতি প্রান্তিকা এলাকা। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই দাবি করেন, “”মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধ পালন করতে চাইছে।
কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা জোর করে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দোকানপাট খোলা রেখে বনধ ব্যর্থ করতে চাইছে।পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের চামচাতে পরিণত হয়েছে। গতকাল দেখা গেল পুলিশকে বেপরোয়া ভাবে ছাত্রদের ওপর লাঠি চালাতে, রাজ্যের নারীরা ধর্ষিতা হচ্ছে, আমরা তারই প্রতিবাদে বনধ ডেকেছি।তৃণমূলের কয়েকজন চামচা বেলচা রাস্তায় নেমেছে বনধ ব্যর্থ করতে। কিন্তু মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। “”অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা বিপ্লব বিশ্বাসের দাবি, “”বিজেপি বিধায়ক তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জোর করে দোকানপাট বন্ধ করতে চাইছিল। “”দুর্গাপুরের ভিরিঙ্গিতে বিজেপির বিধায়ক সহ বিজেপির অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকে ব্যাপক মারধর করতে দেখা যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ এরা জোর করে সকাল থেকে বনধ করতে নেমেছিল। তাই সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে আমজনতা এদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।