দুর্গাপুর, ১৮ মে: সিসিটিভি এবং পুলিশের নিজস্ব নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বড়সড় সাফল্য পেল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর থানার পুলিশ।গত কয়েকমাস ধরে দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে একের পর এক বাইক চুরির ঘটনায় পুলিশের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। এরপরেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের নির্দেশমতো ডিসি(পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা দুর্গাপুর থানার পুলিশ কর্মীদের নিয়ে স্পেশাল টীম গঠন করেন। তারা বিভিন্ন জায়গায় বাইক চোরদের গতিবিধি জানার পর গত কয়েকদিন আগে জামুড়িয়া থানা এলাকার বাসিন্দা প্রবোধ মন্ডল ওরফে লালটু,তাকে গ্রেফতার করতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়ে বিড়াল। দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তাকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে দুর্গাপুরের আমরাই গ্রাম এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এই বাইক চুরি চক্রের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত থাকলেও তাদের মধ্যে দু-তিনজন মূল পান্ডা বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।
তাদের মধ্যে দুজনের বাড়ি রঘুনাথপুর বস্তী, আমরাই গ্রাম এলাকায় এবং অন্যজনের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। সাধারণত জনবহুল এলাকা গুলি থেকে এই বাইক গুলি চুরি করত এরা। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার, বেনাচিতি বাজার সহ দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি যাওয়া এই বাইক গুলি বেশিরভাগই ব্যবহার হয় কয়লা খনি থেকে বেআইনিভাবে বস্তা বোঝাই কয়লা পাচার করার কাজে বলেও জানা গেছে। পুলিশের এই সাফল্যকে সামনে রেখেই ডিসি পূর্ব সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “”আমাদের প্রতি মাসে যে ক্রাইম কনফারেন্স হয় তাতে মাননীয় পুলিশ কমিশনার বাইক চুরির বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তি ঘটাবার নির্দেশ দেন। সেইমত আমরা দুর্গাপুর থানার একটি টিম গঠন করেছিলাম। সিসিটিভির সুবিধা পাওয়া গেছে এবং প্রত্যেকটি অফিসারের ব্যক্তিগত যে সোর্স তাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এখনও পর্যন্ত ১০ টি বাইক উদ্ধার করেছি এবং তার পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করেছি। এর সাথে জড়িত আরও কয়েকজন রয়েছে। তাদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সাধারণ বাইক ব্যবহারকারীদের কাছে অনুরোধ সামান্য পয়সা খরচ করে যদি বাইকে জিপিআরএস সিস্টেম ইনস্টল নেওয়া যায় তাহলে বাইক চুরি আরো অনেকটা কমে যাবে। “”এতগুলি বাইক একসাথে উদ্ধার,দুর্গাপুর থানার পুলিশের এক বিরাট সাফল্য। দুর্গাপুর থানার পুলিশ চাইছে এই বাইক চুরি চক্রের একেবারে গভীরে পৌঁছাতে। আগামী দিনে যাতে বাইক চুরিতে লাগাম টানা যায় সে ব্যাপারেও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বিভিন্ন থানার পুলিশ।