পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রবীন ভোটার, ১১৪ বছরের প্রবীণ হারাধন সাহার জীবন রথের চাকা থামল

কাঁকসা,৬ মার্চ: লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়! কিন্তু আর বাড়াতে পারলেন না নিজের গনতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সংখ্যা। বুধবার আঁধার নামতেই থেমে গেল জেলার প্রবীণ ভোটারের পথ চলা। মৃত্যু হল ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষে জন্মলাভ করা হারাধন সাহার।ভোটার কার্ডে বয়স ১০৫ কিন্তু পরিবারের দাবি বয়স ১১৪। মন খারাপ গোটা জঙ্গলমহলবাসীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার আস্থা নিয়ে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে নাতি নিত্যানন্দ শাহকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে গিয়েছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রে।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচন কেন্দ্রে যেতে না পারলেও বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটে দিয়েছিলেন ভোট। ২০২৩ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আবার লাঠি হাতেই ভোট দিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রে। আবার দোরগোড়ায় আরেকটি লোকসভা নির্বাচন। জেলার মানুষ ভেবেছিলেন এবারেও লোকসভা নির্বাচনের সাক্ষী থাকবেন তিনি। হটাৎ কয়েক মাস ধরে বার্ধক্য জনিত সমস্যা বাড়তে থাকে তাঁর। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫মিনেটে কাঁকসার জঙ্গলমহলের সরস্বতী গঞ্জের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন হারাধন সাহা। কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সবাই। শোনা যায় ব্রিটিশদের সাথে লড়ার করতে এসেছিলেন জহরলাল নেহেরুরা। ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিয়ে তাঁদের লড়াইয়ের সঙ্গীও হয়েছিলেন তিনি। জঙ্গলমহলের সরস্বতীগঞ্জ গ্রামের সৃষ্টির সময় থেকেই রয়েছেন তিনি। আক্ষেপের সুরে নাতি নিত্যানন্দ সাহা বলেন,”দাদু তাকে খুব ভালোবাসতেন। দাদুকে ছাড়া তারও এক মুহূর্ত চলতো না। তার দিনের শুরুটাই হতো দাদুর সাথে গল্প দিয়ে। স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঁধতেন একসাথে পতাকা। নির্বাচনের কেন্দ্রে যেতেন একসাথেই। এভাবে দাদু তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় বড়ই একা হয়ে পড়লাম বলেও জানান।”

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

নিউজ হান্ট অফিসের ঠিকানা এবং যোগাযোগের বিবরণ