“”নারী শক্তির অপমান করেন সেই দিলীপ ঘোষ অভদ্র, অসভ্য লোক””- বলে আক্রমণ কীর্তি আজাদের

দুর্গাপুর, ২ এপ্রিল : শীত পেরিয়ে বসন্ত আজ অতিবাহিত, তাপমাত্রার পারদ চড়ছে রাজ্যজুড়ে। আর সেই প্রেক্ষাপটেও ভোটপ্রচারে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই বিবদমান রাজনৈতিক দলের দুই প্রার্থী দিলীপ ঘোষ এবং কীর্তি আজাদের মধ্যে বাক যুদ্ধের তাপউত্তাপ বাড়ছে। মঙ্গলবার সকালেই কীর্তি আজাদ দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের পারুলিয়া আদিবাসী পাড়াতে আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত নরনারীদের সাথে ধামসা মাদলের তালে তালে নেচে উঠলেন। ১৯৮৩ র বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অলরাউন্ডার এর সাথে সাথে আদিবাসী সংগীতের মূর্ছনায় কোমর দোলালেন রাজ্যের পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দফতরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। পারুলিয়া, কমলপুর, রঘুনাথপুর, ধোবিঘাট অঞ্চলে তীব্র তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কীর্তি আজাদ প্রচার সারলেন।

কখনও রোড-শো, কখনও আবার বাড়ি বাড়ি প্রচার,তার ফাঁকেই কর্মীদের সাথে এক প্রস্থ আলোচনা সেরে নিলেন প্রার্থী কীর্তি আজাদ। এরপরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ এর নাম শুনেই মেজাজ হারালেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, “”যে মানুষটি নারী শক্তিকে অপমান করে, যিনি মা দুর্গা কে অপমান করেন, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করেন তিনি একজন অসভ্য, অভদ্র।এর এই সমাজে থাকার কোন অধিকার নেই । তাই তার কথা আমাকে না বলে আপনারা অন্য কথা জিজ্ঞাসা করুন। মা দুর্গা, মা কালী, দশম মহাবিদ্যা, এ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচুর প্রকল্পের কথা জিজ্ঞাসা করুন। “”মাত্র দুদিন আগে কীর্তি আজাদের সামনে দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি হয়। কীর্তি আজাদ মন্দিরে গিয়া আশ্রয় নেন। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ তাকে উপহাস করে, “”বাচকে রেহেনা রে বাবা “”গান গেয়ে ফেলেন সাংবাদিকদের সামনে। কীর্তি আজাদ সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “”তাহলে উনি তো মেদিনীপুরের সিটিং এমপি ছিলেন। তিনি সেখানে কোন কাজই করতে পারেননি বলে বিজেপির লোকরা তাকে তাড়িয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে বর্ধমান- দুর্গাপুরে। উনাকে বলুন যে কাঁচের ঘরে থেকে অন্যের ঘরে ঢিল মারবেন না।””এরপরেই সুর চড়িয়ে কীর্তি আজাদ বলেন, “”দিলীপ ঘোষ অত্যন্ত অহংকারী মানুষ। তিনি নিজেকে কি মনে করেন। আমি কিছুই না। বাংলার এই মানুষ আমাদের এই কর্মীরাই আমার সব। আমি তিনবারের এমপি, একবার এমএলএ।আমার বাবা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু আমাকে আমার পরিবার সংস্কার শিখিয়েছে। আর দিলীপ ঘোষ নারী শক্তিকে অপমান করতে শিখেছে। তাই এবারে দেখে নেবেন যেখানকার যারা নারী শক্তি তারাই মহিষাসুররুপী দিলীপ ঘোষ কে নির্বাচনে পরাজিত করে তার আসল জায়গা বুঝিয়ে দেবে। “”রৌদ্রতাপ যত বাড়ছে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই প্রার্থীর বাক যুদ্ধের ঝাঁঝ তত প্রবল হচ্ছে।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *