দুর্গাপুর, ১৭ ফেব্রুয়ারি: রাষ্ট্রায়ত্ত দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা নির্মানের সময় বহু জমি অধিগ্রহণ করা হয়।শ্রমিক আবাসনের জন্য গড়ে ওঠে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশীপ।পরিকল্পনা মাফিক সেই টাউনশীপ গড়ে উঠলেও সময়ের সাথে সাথে বহু ফাঁকা জমি দে-দখল হতে থাকে।রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বহু জমি দখল হয়ে যেতে থাকে দশকের পর দশক।ডি এস পি র নগর প্রশাসন ভবনের পক্ষ থেকে পুলিশ ও সি আই এস এফ বাহিনী নিয়ে সেই বে-আইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ মাঝে মধ্যেই হলেও নির্মান কাজ বন্ধ হয়নি।শনিবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশীপের আর্টিরিয়াল রোডের পাশে পুরানো চারচাকা গাড়ি রাস্তার পাশেই দীর্ঘদিন রেখে অবাধে ব্যবসা চলছিল।এই এলাকায় পুরানো গাড়ি কেনাবেচার রীতিমতো বাজার হয়ে উঠেছে।রোটারির পাশেই এভাবে গাড়ি রাখা হচ্ছিল রাস্তার গা ঘেঁষেই যে কারনে এই রাস্তায় দুর্ঘটনা ঘটছিল আকছার।ডি এস পি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পেয়ে এবার নড়েচড়ে বসে।শনিবার সকালে পুলিশ ও সি আই এস এফ বাহিনী নিয়ে এই বে আইনি ভাবে রাখা গাড়িগুলিকে ক্রেইন দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়।পাশাপাশি ওই এলাকারল্য ডি এস পি র একটি আবাসনের বাসিন্দা তার আবাসনের এলাকার থেকে বেশি এলাকা প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে সেই প্রাচী র ভেঙে ফেল হল।ডিএসিপি র নগর প্রশাসন ভবনের এক আধিকারিক প্রিয়ব্রত বটব্যাল জানান,””ডিএসপি টাউনশীপ তৈরি হওয়ার সময় রোটারি গুলির কোনাগুলিতে প্রচুর ফাঁকা জমি ছেড়ে রাখা হয়েছিল পরিকল্পনা মাফিক।এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ছিল একেবারেই কম।বড় গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারালে ফাঁকা জমিতে ঢুকে পড়তে পারত।কিন্তু এখানে সেই ফাঁকা জমি দখল হয়ে যাচ্ছিল।আমরা সাতদিন আগে নোটিশ দিয়েছিলাম।স্বেচ্ছায় যারা সরিয়ে নিয়েছেন তাদের জায়গায় হাত দিনি কিন্তু যারা শুনলেন না তাদের উৎখাত করতে বলপ্রয়োগ করতে হল।””স্টিল টাউনশীপের ভেতরে বহু ফাঁকা জমি বে-আইনি ভাবে দখল হয়ে গেছে এবং এখনও হচ্ছে।দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সম্প্রসারণের জন্য জমির প্রয়োজন। সেক্ষেত্রেও ডি এস পি তার নিজের জমি পুনুরুদ্ধার করতে গিয়ে বারবার বাধার মুখে পড়ে পিছু হটেছে।এখন রাষ্ট্রায়ত্ত এই কারখানার সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজন জমি।।