দুর্গাপুর, ২৮ এপ্রিল: কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক দ্বারা পরিচালিত দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অর্পণ ঘোষ(২০ বছর) এর অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল কলেজ চত্বর। প্রায় চার হাজার ছাত্রছাত্রী এখানে পড়াশোনা করে। ১৪ টি ডিপার্টমেন্ট রয়েছে দুর্গাপুরে এন আই টিতে। ছাত্রদের অভিযোগ অর্পণকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর সে অনেকক্ষণ বেঁচে ছিল। কিন্তু অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না থাকার কারণেই এবং দীর্ঘ ২০ মিনিট অর্পণকে ফেলে রাখার কারণেই তার মৃত্যু হয়। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ছাত্ররা এই কলেজের ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবেকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করে তার অপসারণের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে।ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবেকে এনআইটির গেটের বাইরে কার্যত টেনে হিঁচড়ে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, কলেজের অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে শুরু করে বুনিয়াদি নিম্নতম সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছে বর্তমান ডাইরেক্টর। তবে তার বিরুদ্ধে ওটা সমস্ত অভিযোগ নিয়ে কিছু বলতে চাইনি দুর্গাপুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবে।পুরো ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে দুর্গাপুরের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যাম্পাসে।মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অর্পণ ঘোষ হুগলির ব্যান্ডেলে বাড়ি তার। শুধুমাত্র জানা গেছে যে দ্বিতীয় বর্ষের এই ছাত্রের দুটি বিষয়ে ব্যাক লগ ছিল। অনুমান সে কিছুটা হতাশ ছিল। আজ পরীক্ষা দেওয়ার পর অর্পণ হোস্টেলে ফিরে যায়। তার কিছুক্ষণ পরেই তার সহপাঠীরা হোস্টেলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে ডেকে তাকে উদ্ধার করে। অভিযোগ সেই সময় অর্পণ বেঁচে ছিল। কিন্তু এত বড় কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ইউনিটে ছিল না প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র, এমনকি অক্সিজেনের সিলিন্ডার পর্যন্ত ছিলনা।ঘটনার প্রায় কুড়ি মিনিট পরে অর্পণকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।দুপুরের দিকে ছাত্র-ছাত্রীরা এই মৃত্যুর জন্য ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবে কে দায়ী করে তার অপসারণের দাবি জানাতে থাকে দফায় দফায়। কিন্তু অরবিন্দ চৌবে সেই দাবি না মানার কারণে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবেকে টেনে হিঁচড়ে গেটের বাইরে কার্যত বের করে দেওয়া হয়।