দুর্গাপুর, ৫ মে: একটু রগচটা! কাটা কাটা কথা বলতে ভালোবাসেন! মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা তার তোপের মুখে পড়েন মাঝেমধ্যেই। কখনো গদা হাতে, কখনও আবার স্টিক হাতে প্রাত:ভ্রমণে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ছোটবেলা থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সাথে যুক্ত এখানেও দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই এই রাজ্যে গেরুয়া শিবিরের আগ্রাসন শুরু হয়। লোকসভায় দুটি আসন থেকে এক লাফে আঠারোটি আসন পাওয়ার ম্যাজিক ম্যান দিলীপ ঘোষ। বিরোধী বামপন্থীদের এক ঝটকায় একেবারে শূন্যে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারিগর কিন্তু এই দিলীপ ঘোষ। কারণ তার হাত ধরেই গ্রাম বাংলার রাজনীতিতে বামের ভোট রামে চলে যায় এমন কথাও উঠে আসে। মেদিনীপুরের মাটির ছেলের আটপৌরে কথাবার্তা আকৃষ্ট করে গ্রাম বাংলার মানুষকে। ঘরে বাইরে বহুবার বেফাঁস মন্তব্য করার কারণে সমালোচিত হয়েছেন কখনো গরুর দুধে সোনা পাওয়ার তত্ত্ব আবার কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে পিতৃপরিচয় নিয়ে লাগাম ছাড়া আক্রমণ। দিলীপ ঘোষকে বারবার সেন্সর করেও লাভ হয়নি। এখানেও দিলীপ ঘোষ কখনো হকিস্টিক হাতে, কখনো ক্রিকেট খেলায় ব্যাটিংয়ে মেতে উঠছেন কখনো আবার বাঁ পায়ে নিপুন কিকে জালে জড়াচ্ছেন ফুটবল। আজ একটু অন্যরকম মুডে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের এই ডাকা বুকো নেতাকে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক প্রথমে অঙ্গোদপুরে জেলে মাঝিদের কাছে চারা পোনা মাছ কিনলেন। খোঁজ নিলেন তাদের কাছে কোথাকার মাছ এগুলো? মাছের দাম বেশি নিচ্ছেন না তো? এই মাছটা তো লাইলন ট্রেগার?দুঁদে রাজনীতিবিদ কে দেখা গেল দক্ষ খরিদ্দার হিসেবে মাছ কিনতে।
এরপরেই মাছ বিক্রেতাকে ধূমপান না করার পরামর্শ দিলেন। তারপর রোড শো করতে বেরিয়ে গেলেন দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের বিভিন্ন এলাকায়। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপ এর এ-জোন ডি-সেক্টর মার্কেটে ভুজিয়ার দোকানে ঢুকে এটার ওটার দাম জিজ্ঞাসা করার পর ছোলার ছাতু কিনে নিলেন কিলোখানেক। তার সঙ্গে সঙ্গে ৫ কিলো ঠেকুয়া কিনে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে দিলেন দিলীপ ঘোষ। “”এই গরমে ওরা আমার সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে।””শুদ্ধ স্বদেশী খাবার। বাজারে বাজারে ঘুরতে গিয়ে চোখে পড়ল ঠেকুয়া বিক্রি হচ্ছে। ঘি,আটা,চিনি দিয়ে তৈরি ঠেকুয়া দিয়ে একটু জল খাওয়ার জন্য ওদেরকে ঠেকুয়া খাওয়ালাম।ঠেকুয়া খেয়ে জল খেয়ে নিলে শরীর একেবারে ঠান্ডা হয়ে যাবে।””আজ যেন একেবারে অন্য মুডে দিলীপ ঘোষ। ফুরফুরে মেজাজ এর দিলীপ ঘোষ বাজারে এটা ওটা কিনে জনসংযোগ সারলেন। এবং এটাও যে প্রচারের একটা অঙ্গ সেটা তিনি প্রমাণ করলেন।