দুর্গাপুর, ১৫ ফেব্রুয়ারী : ওদের কারো শিক্ষগত যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেনী,কারও বা আবার ষষ্ঠ শ্রেণী,কেওবা আবার স্কুলের গন্ডীতে পা রাখেনি।কিন্তু ওরাই মাতল বাগদেবীর আরাধনায়।দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামের নীলডাঙ্গা বস্তী।মূলত এই এলাকার বাসিন্দারা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে কোনওরকমে দিন গুজরান করে।এখানকার মহিলারাও পরিচারিকার কাজ করে সংসারের সুরাহার জন্য।যে কারনে এই অঞ্চলের শিশু-কিশোরদের পড়াশোনার জন্য যে আদর্শ পরিবেশ নেই বললেই চলে।কিন্তু হতদরিদ্র মানুষদের এই পাড়াতেও আজ সরস্বতীর আবির্ভাব। সৌজন্যে এই পাড়ার ক্লাব মিলন সঙ্ঘ।স্থানীয় যুবকের গত ১৫ দিন ধরে খড়,বাঁশ আর দড়ি দিয়ে অযোধ্যার রামমন্দিরের আদলে তৈরি করে ফেলেছে মন্ডপ।আর সেই মন্ডপেই বিদ্যার দেবী বিরাজিত। এই পুজোকে ঘিরে গোটা বস্তীর সমস্ত জাতি,ধর্ম,বর্নের মানুষ আনন্দে মেতে থাকলেন।নরনারায়ণ সেবার আয়োজন থেকে পাড়ার কচিকাঁচাদের নিয়ে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল।উদ্যোক্তাদের এই আয়োজনে দেখা গেল উন্মাদনা। তারা সরস্বতীর আরাধনা করে বুঝিয়ে দিলেন যেন বাগদেবী শুধুই পুঁথিপড়া বিদ্যানদের দেবী নন।তিনি বাস্তবে সার্ব্বজনীন।।