দুর্গাপুর, ১০এপ্রিল : এত সহজে তিনি হার মানার পাত্র নন,টিকিট তিনি পাবেনই, ৩১ বছরের সাংসদ কি আর এমনি দিল্লীতে বসে ছিলেন চুপ করে?এসব জল্পনার মাঝেই কোথাও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে গতবার বর্ধমান- দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়ার নাম উঁকি দিয়েছিল।শেষমেশ বাজিমাত করলেন তিনি । সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ভারতীয় রাজনীতিতে এক উজ্জ্বল নাম। দেশের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এসএস আলুওয়ালিয়া রাজনীতিতে হাতে খড়ি নেন কংগ্রেসে। পরে দলবদল করে গেরুয়া-শিবিরে যোগদান। পরপর রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে কাজ করার পর ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে এরাজ্যের দার্জিলিং থেকে প্রার্থী হওয়া এবং নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে বিজেপি সাংসদ হিসেবে পার্লামেন্টে প্রবেশ। কিন্তু তিনি পাহাড়ভাগের ইসু কে মেনে নিতে পারেননি।
আলাদা গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে তিনি রাজি ছিলেন না। তাই দার্জিলিং থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় সমতলে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের মাত্র ১৫ দিন আগে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। সমতলে নেমেও বাজিমাত। মাত্র ১৫ দিন প্রচার করার সুযোগ পেয়ে তার নির্বাচনী ক্ষেত্রের সমস্ত জায়গায় পৌঁছাতে না পেরেও তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের এই কেন্দ্রের বিদায়ী সংসদ ডা: মমতাজ সংঘমিতাকে পরাস্ত করে আবার সংসদ হন।৭২ বছর বয়সী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার জন্ম আসানসোলে। আসানসোল বিবি কলেজ থেকে পড়াশোনার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তার উচ্চ শিক্ষা লাভ। “”দুর্গাপুরের জামাই “”সুরিন্দর সিং আলুহওয়ালিয়ার জন্ম ও কর্মস্থান এই আসানসোল, দুর্গাপুর হলেও তিনি বিহার থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভারতীয় রাজনীতিতে তাকে “”গুগল গুরু”” ও বলা হয়। ভারতীয় রাজনীতি সম্পর্কে তার অগাধ জ্ঞান রয়েছে। সাম্প্রতিক কালের প্রবীণ রাজনীতিবিদরা তাকে অত্যন্ত সমীহ করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অত্যন্ত “”ঘনিষ্ঠ “”বলেও তিনি পরিচিত ।সূত্র মারফত খবর বিজেপির একটি বড় অংশ চেয়েছিল আসানসোল আসনে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হোক। কিন্তু দিল্লিতে যার “” শক্ত খুঁটি পোঁতা””তাকে এবারের লোকসভা নির্বাচনেও টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা গেল না।আসানসোলে প্রার্থী হিসেবে সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়ার নাম ঘোষণা হওয়ার পর তার সঙ্গে প্রথম ফোনে যোগাযোগ করে জানা গেল, “”আমি আগামীকাল অন্ডাল বিমানবন্দরে নামবো বিকেল চারটের সময়। সেখান থেকে দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপে আমার বাসভবনে যাব। তারপর আমি আসানসোলে রওনা দেব।””এখন চর্চায় এস এস আলুওয়ালিয়ার ভোটভাগ্য নিয়ে।তিনি যেখানেই গেছেন সেখানেই সফল হয়েছেন। চ্যালেঞ্জ দিতে ভালোবাসেন আর এটাই হয়তো তার বিরুদ্ধে যারা লড়াই করছেন তাদেরকে বড় দুশ্চিন্তায় ফেলবে।।