ডিউজ বলের ক্রিকেট খেলা দেখতেই বিরক্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ী দলের সদস্য সন্দীপ পাটিল, কিন্তু কেন?

দুর্গাপুর, ৫ এপ্রিল :””আপনারা শুনে অবাক হবেন যে এই নিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে আইপিএল খেলা আয়োজিত হলেও আমি আজ পর্যন্ত একটা ম্যাচ মাঠে খেলা দেখতে যায়নি।তার মানে এই নয় যে আমি এই খেলার বিরোধী। আসলে এত ক্রিকেট খেলেছি, সিলেকশন বোর্ডের চেয়ারম্যান হয়েছে,বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট দলের কোচিং করিয়ে আমি বিরক্ত হয়ে পড়েছি””- দুর্গাপুরে একটি টেনিস বল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে উপস্থিত থেকে এমন কথাই জানালেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সন্দীপ পাটিল। টেনিস বলেন ক্রিকেট প্রতিযোগিতা তার খুব ভালো লাগে এবং এই টেনিস বল খেলেই বড় ক্রিকেটার হয়েছেন সুনীল গাভাস্কার, শচীন টেন্ডুলকার থেকে বিরাট কোহলি বলে জানিয়ে দিলেন সন্দীপ পাটিল।১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের সন্দীপ পার্টিলের সতীর্থ কীর্তি আজাদ বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী। সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, “”আমি রাজনীতি নিয়ে কিছু বলবো না। কীর্তি আমার বহু পুরনো বন্ধু, পুরনো সতীর্থ খেলোয়াড়। শুনেছি প্রার্থী হয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে উত্তর না দিলেও ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড়রা কেউ কোন দলের প্রার্থী হলে আমার পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন রইল। “” ১৯৮৩ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ফাইনালে ২৯ বলে ২৭ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর নেহেরু স্টেডিয়ামে দুর্গাপুর ক্লাব সমন্বয়ের উদ্যোগে আয়োজিত টেনিস ক্রিকেট প্রতিযোগিতার ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন সেই বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়ার সন্দীপ পাতিল। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় বর্তমানে বর্ধমান দুর্গাপুরের তৃণমূলের প্রার্থী কীর্তি আজাদ উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধনা জানান বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় সন্দীপ পাটিলকে। তারপরেই কীর্তিকে ধরে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় সন্দীপ পাতিলকে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, ক্লাব সমন্বয়ের সভাপতি সন্দীপ দে, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য রাখি সহ বিশিষ্টজনেরা। সন্দীপ পাতিলকে জার্সি, টেনিস বল দর্শকদের দিতেও দেখা যায় তাঁকে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দীপ পাতিল বলেন,”উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন এই টেনিস খেলা যুব সমাজকে উৎসাহিত করছে। এই খেলার মাঠ খুবই ভালো। এই মাঠের ওপর নজরদারি বাড়ানো হলে রঞ্জি ট্রফি খেলা যাবে। “”তবে এক সময় কেনিয়া, ওমান দেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করা এবং দীর্ঘদিন ভারতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলা সন্দীপ পাটিল আজ ক্রিকেট খেলা দেখতে বিরক্ত। তার কাছে আইপিএল বা ডিউস বলের টুর্নামেন্ট নয় বরং এখন টেনিস বলের ক্রিকেট খেলা “”আসল খেলা “”।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *