জিতেন্দ্রর পারিবারিক অনুষ্ঠান নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা

দুর্গাপুর, ২৫ নভেম্বর : ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠানেও রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ? পশ্চিম বর্ধমান জেলার একসময়ের দাপুটে টিএমসি নেতা, শাসকদলের জেলার দন্ডমুন্ডের কর্তা জিতেন্দ্র তিওয়ারি ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দেন পদ্ম শিবিরে। জীতেন্দ্র তিওয়ারি দলত্যাগ করার আগে দুর্গাপুরের বেসরকারি গ্রাফাইট কারখানার গেটের বাইরে কলকাতার তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দাগেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বহুবার তার বিভিন্ন কর্মকান্ডের জন্য সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। কখনো আসানসোলে বিজেপির সাংসদ থাকা বাবুল সুপ্রিয় সাথে বাক যুদ্ধ করে আবার কখনো ঘাস ফুল শিবিরের সংগঠন শক্ত হাতে ধরতে গিয়ে বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করে।

দুর্গাপুর পৌর নিগমের গত নির্বাচনে তার নেতৃত্বেই অবাধে ভোট লুটপাট হয় দুর্গাপুরের ৪৩টি ওয়ার্ডে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এখানে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সক্রিয় একজন সদস্য। এবার তার মেয়ের বিয়েতে তৃণমূল নেতাদের সামাজিক মাধ্যমের দ্বারা নিমন্ত্রণ জানানোর ঘটনাতেও লাগলো রাজনৈতিক রং। পশ্চিম বর্ধমানের খোদ বিজেপি নেতা জিতেন চট্টোপাধ্যায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির সমালোচনায় সরব হলেন। জিতেন বাবু বলেন, “”রাজনীতি এবং সামাজিক অনুষ্ঠান দুটি একেবারে ভিন্ন। কিন্তু কেউ যদি রাজনৈতিক পথ পরিবর্তন করার জন্য সামাজিক অনুষ্ঠানকে হাতিয়ার করেন তা অত্যন্ত খারাপ এবং নিন্দনীয়। আমি শুভকামনা জানাই তিওয়ারিজির মেয়ের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক। তবে তিনি যেভাবে বারবার রাজনৈতিক অবস্থান বদল করেছেন তাতে তিনি যদি সামাজিক অনুষ্ঠানকে ব্যবহার করেন তা ভালো নয়।””যদিও এর উত্তর দিতে গিয়ে জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্পষ্ট জানিয়ে দেন,””ঐকান্তিক ব্যক্তিগত ব্যাপার এই বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।””পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, “”তিনি কবে দল ছেড়েছিলেন তাও যেমন জানতে পারিনি, তিনি কবে দলে আসবেন সেটাও আমরা জানি না।কূ- চিন্তা যাদের মাথায় থাকে তাদেরকে নিয়ে আসলে মানুষ ও চিন্তায় থাকে। “” পশ্চিম বর্ধমান জেলায় রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন এক ছাই চাপা আগুন।রাজনৈতিক নেতাদের অনুষ্ঠানেও রাজনৈতিক কচকাচানি। যদিও সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ পারিবারিক অনুষ্ঠানের রাজনৈতিক রং কে একেবারেই পছন্দ করছেন না।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *