দুর্গাপুর,২৭ ফেব্রুয়ারী : পানাগড়ে হুগলির চন্দননগের বাসিন্দা পেশায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার প্রায় ৯০ ঘন্টা পরে কাঁকসা থানায় ওই রাতে দুর্ঘটনায় পড়া সুতন্দ্রারা যে গাড়িতে ছিল এবং বাবলু যাদবের গাড়ির ভিডিওগ্রাফি ও নমুনা পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার কাঁকসা থানায় আসে ছয় সদস্যের ফরেনসিক টিমের সদস্যরা।তার পাশাপাশি গতকাল চন্দননগর থেকে নিয়ে আসা অভিযোগকারী এবং ওই রাতে সুনন্দার গাড়িতে থাকা মিন্টু মন্ডলকে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় গোপন জবানবন্দির জন্য। উল্লেখ্য গতকাল সুনন্দার অন্য এক সঙ্গী বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষের গোপন জবানবন্দী সম্পন্ন হয় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে। প্রায় ৯০ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনও সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনার কিনারা হল না। তবে নাটকীয় ভাবে পানাগড়ে দুর্ঘটনায় সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ সাদা SUV মডেলের গাড়ির মালিক বাবলু যাদব ও ওই রাতে সেই গাড়িতে থাকা তার ৪ জন সহযোগীর খোঁজ পায়নি বৃহস্পতিবার প্রায় দুপুর পর্যন্ত।হুগলির বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু রহস্যের জট এখনো কাটেনি। বুধবার বিকালে হটাৎ কাঁকসা থানার পুলিশ থানায় নিয়ে আসে এক যুবককে।তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর পরে সন্ধ্যায় পুলিশ গাড়িতে করে তাকে কোথায় নিয়ে যায় তা নিয়ে কিছু না বললেও দুপুর থেকে একটানা বেশ কয়েকঘন্টা থানায় থাকার পরে বেরোনোর সময় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পুর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান,””আমরা সমস্ত কিছু রেকর্ড করছি।আপনাদেরকে সব জানানো হবে।

“” কিন্তু কে এই যুবক? বাবলু যাদবের সাথে তার কি সম্পর্ক?সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় এর মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার সাথে এই যুবকেরই বা কি সম্পর্ক?এই সমস্ত প্রশ্ন ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল।”আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা বলেন,”আমরা সব রেকর্ড করছি।সব জানতে পারবেন আপনারা।”” তবে কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কিছুই জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দেখা যায় দুটি গাড়ির নমুনা সংগ্রহ করতে এবং বিভিন্ন দিক থেকে ভিডিওগ্রাফি করতে।