দুর্গাপুর, ২০ মার্চ:- রাতে কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা তৃণমূল কর্মী পবিত্র বিশ্বাস বাড়িতেই ছিল। তার পরিবার সূত্রে জানা যায় তার এক বন্ধু তাকে ফোনে ডাকে।পবিত্র বেরিয়ে যাওয়ার পর তার বাড়িতে ফোন করে জানায় সে বড় বিপদে তাকে বাঁচানোর জন্য।পবিত্রর মামা সুনীল মন্ডলের অভিযোগ “”আমি এবং আমার স্ত্রী গিয়ে খোঁজাখুঁজির পরে প্রথমে ভাগ্নের খোঁজ পায়নি। পরের সে আবার ফোন করে তারপরে গিয়ে দেখি তার নিথর দেহ পড়ে আছে।
আমাদের অভিযোগ সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাস তাকে খুন করেছে। হয়ত তাদের মধ্যে লেনদেন ছিল। শম্ভু এই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতো। কেউ টাকা না দিলে তার বাড়ি ঘর এমনকি তার স্ত্রীকেও ভোগ করত।আমরা চাই তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। “”পবিত্র কে রাজবাঁধে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে ন।এরপরেই উত্তেজিত জনতা সুদ ব্যবসায়ী শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে থাকা একটি চারচাকা গাড়িতে আগুন লাগানো সহ তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং দমকলের দুটি ইঞ্জিন। বুধবার সকালেও ঘটনাস্থলে আসেন কাঁকসার এসিপি সুমন জয়সওয়াল , কাঁকসা থানার আইসি পার্থ ঘোষ। এসিপি(কাঁকসা) সুমন জয়সওয়াল জানান, “”পবিত্র বিশ্বাস নামের ২৬ বছরের এক যুবককে গতরাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয় বলে আমরা জানতে পারি। শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে তার মৃতদেহ পড়েছিল বলে তার বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। কিভাবে মৃত্যু হল এই যুবকের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই তা জানা যাবে । “”
সুদ ব্যবসায়ীর হাতে খুন তৃণমূল কর্মী বলে অভিযোগ। উত্তেজিত জনতার ক্ষোভের কারনে ওই সুদ ব্যবসায়ীর চারচাকা গাড়িতে আগুনে পুড়ল। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম পবিত্র বিশ্বাস (২৬ বছর)। গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় রাতেই কাঁকসা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়ার পবিত্র বিশ্বাস নামে তৃণমূল কর্মীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় এলাকার শম্ভু বিশ্বাস নামের সুদ কারবারি। তারপরেই পবিত্রকে পিটিয়ে শ্বাস রোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকেই গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত শম্ভু বিশ্বাস বলে অভিযোগ। রতেই উত্তেজিত জনতা শম্ভু বিশ্বাসের বাড়ি ভাঙচুর এবং একটি চারচাকা গাড়িও জ্বালিয়ে দেয়। ঘটনার পর থেকে শম্ভু দাসের পরিবারের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বিবাহ বহির্ভূত কোন সম্পর্কের জেরেই কি এই খুন?যদিও এ বিষয়ে পুলিশ এখনও স্পষ্ট করে কিছুই বলতে চাইনি। গোপালপুর গ্রামে পুলিশি টহল চলছে।