এস এস আলুহওয়ালিয়ার লড়াই তার দুই তৃণমূল নেতা শ্যালকের বিরুদ্ধেও

দুর্গাপুর, ১২ এপ্রিল : দীর্ঘদিন পর আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসাবে ঘরের ছেলে সুরিন্দার সিং আলুওয়ালিয়ার নাম ঘোঢনা হওয়ার পরে তিনি বৃহস্পতিবার দিল্লি থেকে অন্ডাল বিমানবন্দরে ফিরে শুক্রবার সকাল থেকেই প্রচার শুরু করলেন। আসানসোলের ঘরের ছেলে এবং দুর্গাপুরের জামাই এসএস আলুওয়ালিয়ার মূল লড়াই তৃণমূল কংগ্রেসের আসানসোল কেন্দ্রের সাংসদ তথা এবারেরও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনার বিরুদ্ধে। তবে আলুওয়ালিয়ার লড়াই কিন্তু “” ঘরের লোকের””বিরুদ্ধে।তার দুই শ্যালক যারা আজ পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখ, তাদের মধ্যে বড় শ্যালক আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত রাণীগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ছোট শ্যালক দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর ডেপুটি চেয়ারপারসন অমিতাভ ওরফে জহর বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্গাপুরের গোপালমাঠের মেয়ে মনিকা আলুওয়ালিয়া সুরিন্দার সিং আলুওয়ালিয়ার অর্ধাঙ্গিনী। আসানসোল কলেজে পড়ার সময় মনিকা দেবীর সাথে সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়ার প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া। প্রেম সার্থক পরিণতি পায়। আসানসোলে পারিবারিক কারখানাতে তালা পড়ে যাওয়ার পর এখান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে সুরিন্দারজিৎ সিং আলুওয়ালিয়া স্ব-পরিবারে ভিন রাজ্যে চলে যান। এসএস আলুওয়ালিয়ার প্রথম রাজনৈতিক জীবন কংগ্রেসের হাত ধরে। সেই সময় তার শ্যালকরাও অবিভক্ত বর্ধমান জেলার কংগ্রেসের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস গঠনের পর তাদের দল ত্যাগ। কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান। অন্যদিকে এসএস আলুওয়ালিয়াও কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান। গতবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় শ্বশুরবাড়ি গোপালমাঠেও প্রচারে গিয়ে ব্যাপক সাড়া মিলেছিল সাধারণ ভোটারদের।এবং শ্বশুর বাড়ি গোপালমাঠের প্রায় সবকটি বুথে “” জামাইবাবু””এস এস আলুওয়ালিয়া বেশি ভোট পেয়েছিলেন। এবার তার লড়াই রানীগঞ্জের কংগ্রেসের বিধায়ক তথা আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের(আড্ডা) চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও। যদিও এস এস আলুওয়ালিয়া তার অবস্থান স্পষ্ট করে জানান , “”আমার লড়াই মানুষের বিরুদ্ধে নয়। আমার লড়াই বিচারধারার সাথে। “”তার শ্যালকরা আজ তৃণমূল কংগ্রেসের এই জেলার মুখ, তাদের বিরুদ্ধে এই লড়াই তার উত্তরে ৩৪ বছরের প্রবীণ সংসদ এস এস আলুহওয়ালিয়া তার স্ত্রী মনিকা আলুওয়ালিয়াকে পাশে নিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “”আমি আমার কোনও আত্মীয়কে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদান করতে হবে এমন কথা বলিনি। তারা তাদের বিচারধারা অনুযায়ী রাজনীতি করেন। আমি আমার বিচারধারা অনুযায়ী রাজনীতি করি। আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক। “”শ্বশুরবাড়িতে লড়াইয়ে বাজিমাতের পর এবার জন্মভিটেতে লড়াই। নিজ ঘরের পরীক্ষা কেন্দ্রে তাকে ভোটাররা সর্বোচ্চ কত নাম্বার দেয় সেটাই দেখার।।

Share it :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *