দুর্গাপুর, ৫ মার্চ: সালটা ছিল ১৯৮৩,সেইসময়কার ক্রিকেট বিশ্বে ছড়ি ঘোরানো ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে কপিল দেবের নেতৃত্বে প্রথম বিশ্বকাপ জয় করে এনেছিল ভারত। আর সেই বিশ্বজয়ী দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন কীর্তি আজাদ। তার বর্ণময় রাজনৈতিক জীবন । গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে তার রাজনীতিতে প্রবেশ, এরপর কংগ্রেসের যোগদান, তারপর 2021 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পথ চলা শুরু। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত তিনি বাংলার বাইরেই বিশেষ করে গোয়া রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখভাল করতেন । এবার কি তিনি মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে তৃণমূলে হয়ে এ রাজ্যের বর্ধমান – দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের রাজনৈতিক ময়দানের 22 গজে নতুন ইনিংস খেলতে নেমেছেন? মানুষের সাথে জনসংযোগ করছেন।আর তাই বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার তিনিই যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সেই প্রশ্নটাও উঁকি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নিচু তলার কর্মী থেকে আমজনতার মনে। যদিও প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নকে কীর্তি আজাদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের এই জেলার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এ বিষয়টি ঠেলে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি দুদিন বাংলা সফরে এসেছিলেন তিনি এ রাজ্যের ৪২ টি আসনের মধ্যে ৪২ টি পাবে বিজেপি সেই কথাও বলেছেন। সেই বিষয়ে কীর্তি আজাদ বলেন সে তো ক্ষমতায় আসার আগে নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন প্রত্যেক মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১৫ লক্ষ টাকা। দু কোটি বেকার যুবক-যুবতীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। গ্যাসের দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এই বিজেপি সরকার। সেইসব প্রতিশ্রুতি আজ মিলেছে। ওরা ২০২১ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ২০০র বেশি আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু ১০০টি ও আসন পাইনি তাঁরা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কাজ করেন। তিনি তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেও মানুষ জবাব দেবে বলেও জানান তিনি। তারপরেই তিনি দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর দুর্গাপুর ক্রিকেট ক্লাবে ব্যাট হাতে নেমে পড়েন। বেশ কয়েকটি ছয় ও চার মারলেন। তারপরেই খেলোয়ারদের উৎসাহ বাড়ালেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এক নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সভাপতি রাজিব ঘোষ সহ জেলা তৃণমূলের নেতৃত্বরা। কীর্তি আজাদকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি কি লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? উত্তরে বলেন তিনি ব্রিগেডে জনগর্জন সভায় মানুষকে আহ্বান করতে দুর্গাপুরে এসেছেন। তবে বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদই হবে এমন জল্পনা রয়েছে তুঙ্গে। এ বিষয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন,”লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকি আছে। তার আগে এ রাজ্যের অনেক তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা বিজেপিতে যোগ দেবে। আর বর্ধমান দুর্গাপুর বিজেপির গড়। সেখানে যতই প্রচার করুক তৃণমূল জয় হবে বিজেপিরই।”