দুর্গাপুর ও হুগলী,৪ ডিসেম্বর : ‘INDIA’ জোট ভারতবর্ষের বর্তমান পরিস্থিতি অনুভব করছে। পাঁচটা নির্বাচনে কংগ্রেস একটা পেয়েছে। বিজেপির ১৪% ভোট কমেছে তা ভাবাচ্ছে। কংগ্রেস বলেছে বিজেপিকে তাড়াতে একমাত্র নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। আর সোনিয়া গান্ধী বিচক্ষণ মমতা ব্যানার্জী ‘INDIA’ র একমাত্র নেত্রী। তিনি বলেন ‘যদি INDIA জোট না যেতে তাহলে ভাববেন না আমরা দুর্বল, রাঙা চোখ দেখতে পাবেন আমাদের’, বলেও বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন। বুধবার সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জমিয়াত উলামায়ে হিন্দ সংগঠনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন গ্রন্থাকার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী সহ জেলা নেতৃত্বরা। মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী বলেন এনআরসি নিয়ে যে বিজেপির নেতারা এত কথা বলছেন, তাঁরা ভারতীয় কিনা আগে প্রমাণ করুক। যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি জিতেছে সেগুলিতে এসব নেই। বর্ডারে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে, ১৫০ মিটার ওপরে রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। গাড়িতে করে বিএসএফ নজরদারি চালাচ্ছে। তারপরেও নাকি বহিরাগতরা এ রাজ্যে প্রবেশ করছে। তাহলে ঢুকছে কোন দিক দিয়ে। বিএসএফের শাস্তি হয় না বলেও কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষ করেন। এনআরসির বিরুদ্ধে কলকাতায় মিছিল হবে কয়েক লক্ষ মানুষকে নিয়ে। তিনি আরো বলেন দুবাইয়ে অর্থলগ্নি করছে বিজেপি নেতারা আর এদেশে ভন্ডামি করছে। তৃণমূলের নবীন প্রবীণের দ্বন্দ্বের মাঝেই মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জিকে সমান গুরুত্ব দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী।সি এ এ প্রসঙ্গে হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “”সি এ এ নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।এই নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি।এ রাজ্য থেকে কাউকে তাড়ানো হবেনা।”” সি এ এ ও এন আর সি নিয়ে লোকসভা ভোটের আগে যে রাজনৈতিক তর্জা অন্যতম প্রধান ইস্যু হয়ে দাঁড়াবে তা কিন্তু স্পষ্ট বোঝা উচিত।।