দুর্গাপুর, ৩১ ডিসেম্বর : মিঠে রোদ গায়ে মেখে পকোড়া খেতে খেতে জমে উঠে গল্প। সঙ্গে ভাজা মাছ, নলেনগুড়ের মিষ্টি, পাঁপড়, পোলাও আর ফ্রাইড রাইসের সঙ্গে কষা মাংস। বর্ষশেষে পর্যটনকেন্দ্র থেকে নদীর ধারে খোশ মেজাজে বাঙালি। চড়ুইভাতীর অন্য আনন্দ অজয়ের তীরে কাঁকসার দেউলে। সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের উৎসবমুখর মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন সেই পর্যটন কেন্দ্রে।খাওয়া-দাওয়া আর হুল্লোড়ের পাশাপশি একটু ঘোরাঘুরি। বনদপ্তরের সংরক্ষিত রিজার্ভে হরিণ আর ময়ুরদের সাথেও সাক্ষাৎ করতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। রাজা ইছাই ঘোষের দেউলও চাক্ষুষ করছেন তাঁরা। পিকনিক করতে আসা মানুষের সমস্যা এড়াতে পুলিশের নজরদারি রয়েছে। অজয়ের জলে নজর রাখছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরও। সংরক্ষিত রিজার্ভের ভেতর হরিণ ও ময়ূরের কথা ভেবে বনদপ্তরেরও বিশেষ নজরদারি চলছে। নতুন বছরের শুরু থেকে উপচে পড়বে ভিড়। সেই কথা ভেবেও একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ডিজে, থার্মোকলের পাতা, মদ্যপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যাই হোক পুরনো বছরকে বিদায় জানাতে পার্ক থেকে নদীর পারে ফুরফুরে মেজাজে আপামর বাঙালি।উচ্চস্বরে বক্সে বাজছে গান আর বঙ্গ রমণীরা মেতে উঠেছেন আনন্দ নৃত্যে। দুর্গাপুর মহকুমার বিভিন্ন পিকনিক স্পট গুলিতে একই ছবি ধরা পড়ল।দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে শিশু উদ্যানে ভরা শীতে ওয়াটার পার্কে উপচে পড়া ভিড়। ওয়াটার বল থেকে শুরু করে নৌকা বিহারের মেতে উঠতে দেখা গেল বহু পরিবারের সদস্যদের। ২০২৩ কে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে যেন তৈরি শিল্প শহর দুর্গাপুর।