দুর্গাপুর, ১৫ মে: দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শেখ বাহাদুর (২৮ বছর)বুধবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের এ-জোন শিবাজি রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল বলে দুর্গাপুর থানার পুলিশ জানতে পারে। দ্রুত তাকে দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। কিভাবে মৃত্যু হল শেখ বাহাদুরের? এমন প্রশ্ন তার পরিবারের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে আজ সকালে একজন বন্ধুর সাথে বেরিয়েছিল শেখ বাহাদুর।বাহাদুরকে পরিকল্পনামাফিক খুন করা হলো। কে সেই বন্ধু? যদিও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে অপরাধমূলক কোনো কাজকর্ম করতে গিয়ে জনগণের তাড়া খেয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালাতে গিয়ে শেখ বাহাদুরের মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ স্থানীয় সূত্রে এমনটাই জানতে পেরেছে বলে জানা গেছে। কিন্তু আদৌ কি তাই?নাকি অপরাধমূলক কোনও কাজ করতে গিয়ে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হল শেখ বাহাদুরের? আপাতত তার পরিবারের সদস্যরা দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে। আগামীকাল শেখ বাহাদুরের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য। দুর্গাপুর থানার পুলিশ বাহাদুরের সঙ্গে আর কে বা কারা ছিল তার তদন্ত নেমেছে। বাহাদুরের পরিবারের দাবি এই মৃত্যু রহস্য উদঘাটিত হোক। কি কারনে শেখ বাহাদুরের মৃত্যু হল জানতে মরিয়া তার পরিবার। সত্যিই কি বাহাদুর কোন অপরাধমূলক কাজকর্ম করতে গিয়ে মারা যায়? তাহলে সঠিক কিভাবে তার মৃত্যু হল সেটাই জানতে চাইছে তার পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে প্রকৃত মৃত্যুর রহস্য।