দুর্গাপুর, ২৪ মে: “”আমি চাইছি সরকারকে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দেবো আমিও এখানকার ডাক্তার হব। আমি চাইছি পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে আমিও ডাক্তার হয়ে সবার পেট কাটব””নিজের গর্ভজাত সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পর প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে এভাবেই অভিযোগের আঙুল তুললেন ক্ষুব্ধ এক আদিবাসী যুবক সুনীল বেসরা।।সন্তানের জন্ম দিয়েই মায়ের মৃত্যু, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ। ব্যাপক উত্তেজনা দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পৌঁছালো নিউ টাউনশিপ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। মৃত প্রসূতির নাম মৌসুমী হাঁসদা(২৪)। কাঁকসার বড়ডোবার বাসিন্দা। হাইপারটেনশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয় কাঁকসার কুলডিহার গর্ভবতী মৌসুমী হাঁসদা। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচার করা হলে সন্তানের জন্ম দেয় সে। তারপরেই মৃত্যু হয় মৌসুমীর। সেই খবর শুনে রাতেই হাসপাতালে জড়ো হয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। ফের শুক্রবার সকাল থেকে ওই চিকিৎসকের শাস্তির দাবি তুলে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেন মৃতার পরিবার-পরিজনেরা। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সৌম্যদীপ মণ্ডলের সামনেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। মৃতার আত্মীয় সুনীল বেশড়ার অভিযোগ, “হাইপারটেনশন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা না করে পরিবারের কাউকে না জানিয়েই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।সেই অস্ত্রোপচারের পরেই মৌসুমী সন্তানের জন্ম দিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতিও ঘটেছিল। চিকিৎসকদের ভুল সিদ্ধান্তে আর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হল তাঁর। কেন পরিবারকে না জানিয়ে অস্ত্রপচার করা হলো, কেন ভুল চিকিৎসা করা হলো তার জবাব দিতে হবে। এবং চিকিৎসককে শাস্তি দিতে হবে বলেও দাবী তোলেন।”যদিও দুর্গাপুর মহাকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. ধীমান মন্ডল বলেন,”সব মৃত্যুই বেদনাদায়ক। রোগীর শারীরিক কথা ভেবে অনেক সময় পরিবারকে না জানিয়েও অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে, মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসকদের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কি কারনে মৃত্যু তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানান।”