দুর্গাপুর, ৩ মার্চ: তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশের পরেও ডাক না পাওয়ার অভিযোগ। নাম না করে আইএনটিটিইউসি বর্তমান জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন প্রাক্তন আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। সকলকে নিয়েই আমরা কাজ করছি দাবি আইএনটিটিইউসি জেলা সভাপতি অভিজিৎ ঘটকের।””তৃণমূল কংগ্রেসের পিসির কথা ভাইপো শোনেনা তাহলে আর কে কার কথা শুনবে? “”- কটাক্ষ সিপিআইএম নেতার।
মাত্র কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে এসে পশ্চিম বর্ধমান জেলার সমস্ত পদাধিকারী নেতাদের সাথে লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান-দুর্গাপুর ও আসানসোল এই দুই আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের জয় সুনিশ্চিত করতে সব নেতাদেরকে একযোগে কাজ করার নির্দেশ দিলেও দলনেত্রীর সেই কথা যেন “”মাঠেই মারা গেল।””মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার মোট নটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে যে ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে তার দলের বিধায়করা রয়েছেন তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়ার পর দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রের পরাজিত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকেই ওই বিধানসভায় লোকসভা নির্বাচনে যাতে লিড পাওয়া যায় সেই দায়িত্ব দিয়ে যান। দলের সুপ্রিমো দু একজন নেতা কে “”বকাঝকা”” করার পাশাপাশি সবাইকে একসাথে কাজ করার কড়া নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশ কার্যত ফলপ্রসু হলো না বলে অভিযোগ তুললেন বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তাই লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবারও গোষ্ঠীকোন্দল মাথা চাড়া দিতেই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরুলিয়া সফরের আগে দুর্গাপুরে আসেন। সেখানেই জেলা নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় বিশ্বনাথ পারিয়ালকে। তার কয়েকদিন পরেই পশ্চিম বিধানসভার একটি বেসরকারি কারখানায় শ্রমিকদের এবং কারখানা কর্তৃপক্ষকে নিয়ে কর্মসূচি করেন INTTUC নেতৃত্বদের নিয়ে সভাপতি অভিজিৎ ঘটক। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়। প্রাক্তন আইএনটিটিউসির সভাপতি বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের অভিযোগ,”তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলনেত্রীর নির্দেশকে উপেক্ষা করছে বেশ কিছু নেতা। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ধরনের কর্মসূচি দলকে দুর্বল হবে এবং নগ্ন দলবাজিকে উৎসাহিত করবে। এই বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও জানান তিনি।” যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আইএনটিটিইউসির সভাপতি অভিজিৎ ঘটক বলেন,”দায়িত্বে উনি আগেও ছিলেন এখনো আছেন। সকলকে নিয়ে কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য। লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে সকলকে একত্রিত হয়েই কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।” কটাক্ষের সুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিআইএম এর সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন,” দলের ওপর কোন নিয়ন্ত্রন নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শোনেন না তার ভাইপো। তাই ওনার কথা কেউ শুনছেন না। “”মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রে যাতে করে লোকসভা তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনে লিড পায় সেই দায়িত্ব দিয়ে যান। তারপরেই দীর্ঘদিন “”কোণঠাসা “”থাকা বিশ্বনাথ পাড়িয়ান নিজের অনুগামীদের নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েন দুর্গাপুরে। সাংগঠনিকভাবে বেশ কিছুটা “” চাপে থাকা “”বিশ্বনাথ আবার প্রকাশ্যে আসতেই বিশ্বনাথ “” বিরোধী শিবির “”ও বিশ্বনাথের অনুগামীদের মধ্যেও শুরু হয়ে গেছে “”ঠান্ডা লড়াই “”।আর শাসকদলের এই অন্তর্দন্দ ক্রমশ জটিলতা ধারণ করার কারণে advantage যে বিরোধী গেরুয়া শিবিরের তা বলায় বাহুল্য।